সুজন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার একটি অন্যতম সুনামধন্য উপজেলা হলো রানীশংকৈল উপজেলা – শিক্ষা ব্যবস্থায় ইদানিং বেশ সাফল্য ও সুনাম করেছে উপজেলাটি ৷ কিন্তুু শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান থাকলেও মোটেও কোন ভালো উন্নয়ন মূলক অবদান নেই চিকিৎসা খাতে, দিন দিন ব্যাহত হচ্ছে এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা।
রানীশংকৈল উপজেলা হাসপাতালটিতে ও রয়েছে হাজারো অভিযোগ। নোংরা পরিবেশ আর জরাজীর্ণ অবস্থায় পার হচ্ছে দিনকে দিন। ভালো ডাক্তার না থাকায় ভালো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন রোগীরা ৷
চলমান বার্তার অন্যান্য খবর>>
একজন মেডিকেল ডাক্তারের দায়িত্ব বেশিরভাগই পালন করছেন নার্স ও বিভিন্ন শ্রেনীর কর্মচারী কর্মকর্তরা এতে ভালো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই, তারপরও নেই তেমন কোন ভালো ব্যবস্থাপনা ,রোগীদের বেশিরভাগ ঔষধ কিনে আনতে হয় বাইরের ঔষধ ফার্মেসী থেকে।
অনেক সময় স্যালাইন পাইপটিও কিনতে হয় সাধারন রোগীদের। নেই তেমন কোন উন্নত মানের বিছানা। একটি নোংরা চাদরে পার করতে হয় রোগীদের দিনের পর দিন।
প্রচন্ড এই ভ্যাপসা গরমে নেই তেমন ফ্যানের ব্যবস্থা যে কটি রয়েছে সেগুলোও রয়েছে অচল অবস্থায়। সব মিলিয়েই রানীশংকৈল হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা হ য ব র ল অবস্থা।
এদিকে বাহিরের অবস্থাও বেশ নাজেহাল নোংরা স্তুপে ভরে গেছে চারপাশ পরিষ্কার তো দুরের কথা মনে হচ্ছে সেটিই ডাস্টবিন ৷ নোংরা ময়লার দূর্গন্ধে রোগ ছারাচ্ছে চারপাশে, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হরহামেশাই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। টয়লেট বার্থরুমের নোংরা গন্ধে থাকা দায়।
হাসপাতালে প্রবেশ করা মানেই সেই নোংরা দূর্গন্ধের ঘ্রাণ নেওয়া কোনভাবেই পরিস্কার হচ্ছে না এসব যায়গা গুলো, কেউ কোন রকম ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করছে না ৷ তাহলে কি একটি হাসপাতাল আজ এভাবে ময়লা নর্দমায় পরিনত হবে এমন প্রশ্ন সাধারন রোগী সহ অনেকের ৷
আরও পড়ুন :বিএনপি’র প্রতীকের জন্য শাজাহান খান তারেকের কাছে গিয়েছিলেন : বাহাউদ্দিন নাছিম