ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক:
ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার গতির ট্রেন নির্মাণের ঘোষেণা দিয়েছে চীন। চীনের ম্যাগলেভ ট্রেনচীনের ম্যাগলেভ ট্রেননিরাপদ স্থল যোগাযোগে ট্রেনের বিকল্প নেই। তবে গতির দিক থেকে এই ব্যবস্থা কিছুটা হলেও পিছিয়ে। এ ক্ষেত্রে বুলেট ট্রেন বা ম্যাগলেভ ট্রেন অবশ্য ব্যতিক্রম। তবে বিশ্বে হাতে গোনা তিনটি দেশেই রয়েছে এই ট্রেনব্যবস্থা। তার একটি চীন। অপর দুটি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাগলেভ ট্রেনের বিশেষত্ব হলো ঘর্ষণ এড়াতে এটি চুম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করে রেললাইন থেকে কিছুটা ওপরে ভেসে চলে।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিংদাওয়ে গত বৃহস্পতিবার নতুন ম্যাগলেভ ট্রেনটির নকশার নমুনা উন্মোচন করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত রেল কোম্পানি চায়না রেলওয়ে রোলিং স্টক করপোরেশন (সিআরআরসি) এই নকশা তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০২১ সাল নাগাদ এই ট্রেনের বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে তারা। প্রায় তিন বছর গবেষণার পর নতুন ট্রেনের নকশাটি প্রস্তুত করা গেছে। উচ্চগতি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত প্রধান বাধা হলো ট্রেনের ওজন হালকা রাখা এবং ঘর্ষণ কমানো। অবশেষে গবেষকেরা সফল হয়েছেন।
ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার গতির বুলেট ট্রেন অবশ্য এবারই প্রথম নয়। জাপান ২০১৫ সালে প্রথম এমন ট্রেনের পরীক্ষা চালায়। ঘণ্টায় ৬০৩ কিলোমিটার গতি অর্জন করে ওই ট্রেন বিশ্ব রেকর্ডও গড়ে। তবে জাপান ট্রেনটির বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারেনি। ওই ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী চুও শিনকানসেন ম্যাগলেভ লাইন নির্মাণকাজ চলছে দেশটিতে। ২০২৭ সালে এটি সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন : হুয়াওয়েকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ