ছবি : সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত ৬ মে থেকে এখনো তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। অধ্যাপক মতিউল ইসলামের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে বিদেশে নিলে ভালো হতো। বাবার শারীরিক অবস্থার একই রকম আছে। কোনো উন্নতি হয়নি।’
মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর সেদিন রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার আশংকা তৈরি হয় তাঁর। এরপর ৩০ এপ্রিল তাঁকে প্রথম লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে লাইফ সাপোর্ট খুললে আবারও অসুস্থবোধ করেন তিনি। ৬ মে আবারও তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এখনো তাঁর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’ ছবিতে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।
২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।
আরও পড়ুন : বিয়ে না করেই বাবা হতে যাচ্ছে সালমান খান!