মো.শহিদুল ইসলাম: ঈদকে সামনে রেখে দূরপাল্লার বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের এক প্রকার জিম্মি করেই এ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেনভুক্তভোগীরা। ঈদে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে এ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ ।
কোনাবাড়ী হইতে গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, রংপুর, শঠিবাড়ী,কাউনিয়া,তিস্তা, মোস্তাফি, কুড়িগ্রাম, উলিপুর,চিলমারী,নাগেশ্বরী, ভুরঙ্গামারীর বাস ভাড়া গত একসপ্তাহ আগেও ছিলো ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হানিফ,শ্যামলী, থ্রী স্টার ট্রাভেলস,জাকির ট্রাভেলস,নাবিলা এই কাউন্টার গুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। হানিফ এন্টার প্রাইজে রংপুরের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৪০০ টাকা, নাবিলা,১৪০০ টাকা, শ্যামলী ১৪০০ টাকা, থ্রী স্টার ১৩০০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বিক্রয় প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে আসার সময়ে খালি বাস আসতে হয়। আর ঈদের পর যেতে হয় খালি বাস নিয়ে। এ জন্য বাসে কোন প্রকার লাভ হয় না। ফলে কিছুটা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মালিক ইব্রাহিম জানান, আমাদেরকে টিকিট কিনতে হয়েছে বেশি টাকা দিয়ে, বলেন আমাদের কি করার আছে, আমি বেশি টাকা দিয়ে নিলে কেউতো নিবেই।
এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে সকল টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত টাকা নিবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অথচ প্রত্যেকটা টিকিট কাউন্টারে নেওয়া হচ্ছে তিন গুণেরও বেশি ভাড়া।
দূর পাল্লার বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং ভাড়া সংক্রান্ত কোন মূল্য তালিকা না থাকায় ও যাত্রী হয়রানি লক্ষ্যে ঢাকায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানা।
মহাখালী থেকে রংপুর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা অথচ কোনাবাড়ী থেকে ১২০০/১৪০০ টাকা। ভুক্তভোগীরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মোঃ আলামিন মিয়া নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন আমি ৭ দিন যাবত টিকিটের জন্য ঘুরছি, অথচ আমাকে টিকেট দেয় না। কাউন্টার মাষ্টারদের এমন ভাব কথা পর্যন্ত বলতে চায়না। অথচ ১ থেকে ৪ জুনের টিকিট বিক্রি করছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
শফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন আমরা গার্মেন্টসে চাকুরী করি। সারা বছর তেমন ছুটিছাটা পাইনা। ঈদ আইলে মুই রংপুর যামু তোরা এতো ভাড়া নেন ক্যারে।
মাজহারুল ইসলাম নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, প্রতিবছর ঈদ আসলে আমাদের এই হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আমরা জিম্মি হয়ে পরি কাউন্টার মাস্টারের কাছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের বিআরটিএ সার্কেল অফিসার কামরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি একটু পরে কল করেন। প্রায় ২ ঘন্টা পরে কল করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দেন।
আরও পড়ুন : চোখের জলে কী নিভবে ধান ক্ষেতের আগুন?