‘জন্ম লগ্ন থেকে মৃত্যু অবধি’
নাসরিন পারভীন
সোনালি বিকেলের প্রান্তে বসেই হঠাৎ
চায়ের চুমুকে মনে পড়লো তোমায়,
হাতের কাছেই ছিলো কাগজ কলম
সাইড টেবিলের ওপাশটায়….
তাই লিখতে বসলাম কি ভেবে জানিনা।
তবে প্রায়সেই তোমায় লিখি এমন চিঠি
আমার অলেখা ডাইরির পাতায়,
কেন লিখি?
সে জানতে চাইনি কখনো নিজের কাছে।
যেমন অনেক প্রশ্নই অজানা;
দাঁড়িয়ে আছে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো
কিংকর্তব্যবিমূঢ়ে পানসে মুখ নিয়ে।
হয়তো মায়া জড়ানো হৃদয়ের সাথে
এমনি ভাবে অকপটে কথা বলে যায় এ হৃদয়।
ক্ষমতার দম্ভে এ সমাজ এ সংসার,
শুধু কেড়ে নিতে শিখেছে আর কিছু নয়;
তাই এ জনমে পাওয়া হলোনা অনেক কিছুই।
চারিদিকে শুধু লড়াই লড়াই আতঙ্ক
যাপিত জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে যেন।
এতো ক্ষমতা জয়ী হবার নেশা পেয়ে বসেছে
মানব মন, দেশ, জাতি,ধর্ম, রাষ্ট্র, মহাদেশ সর্বত্র,
পৃথিবীতে তারই তোড়ে পরাধীনতার
পিঞ্জরে আজ স্বাধীনতা বন্দী।
অন্ধ বধিরে বন্দী-দশায় মানবতা
বিনাশের দ্বারে লুটিয়ে পড়ে কাঁদে আর্তনাদে।
অথচ গড়তে হলে ভালোবাসার বিকল্প নেই,
ভালোবাসায় আছে ত্যাগ,
যে হৃদয় ভালোবাসতে জানে সে খুঁজেনা বিনিময়,
ভালোবাসা সেতো পথের মতো বিশাল
শুধু গন্তব্য খুঁজে পৌঁছে দেয় সমাধানে।
মায়া ফেলে যাওয়া ছায়া,পদচিহ্ন বুকে
আঁকড়ে ধরে বিলিয়ে দেয় নিজেকে।
পথের বাঁকে বাঁকেই বদলে যাওয়া মনের সে অনুভূতি,
শুধু পথিকের সামনে চলার পাথেয়-
তার নেই পাবার লোভ,হানাহানি কিংবা কোন,
আসনে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার আকাঙ্ক্ষা,
তাই ভালোবাসা মহৎ,জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যু অবধি।
তোমাকে ভালোবেসেছি আমি নিবিড়ভাবে
তাই তোমাকে বলতে গেলে শান্ত;
নিজের অনুভব নিয়েই বলা হয় আসলে,
তবুও তোমাকেই লিখি সবটুকু নিজেকে উজার করে।
আরও পড়ুন:মেয়েটি সিদ্ধান্তে অটল