ছবি : প্রতিবেদক
মাসুদ রানা, মোংলাঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকে পরিবারের সাথে অভিমান করে মোংলা সুন্দরবনে থাকার কথা বলে পালিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে ‘মা’ হারা কলেজ পড়ুয়া এক তরুনী (২০)।
মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মাসুদ শিকদার জানায় রবিবার (১৬ জুন) সকাল ১১ টার দিকে মোংলা সুন্দরবন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরতে থাকে মেয়েটি। স্থানিয়রা সন্দেহ করতে থাকে পরিশেষে রাত ৯ টার দিকে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও স্থানিয়রা মিলে খুজঁতে বের হয়। অবশেষে খুঁজে পেয়ে মেয়েটিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। মেয়েটি কোন কথা বলে না। অবশেষে ভুল ঠিকানা দেয়, বলে বাড়ি যশোর।
চলমান বার্তার অন্যান্য খবর>>
স্থানিয়রা জানায় মেয়েরটির ব্যাগে একটি কুরআন শরিফ, একটি বাটি, ১৮ হাত লম্বা একটি রশি, নগত ৮ হাজার টাকা এবং মোবাইলের বিকাশে ২৫ হাজার টাকা ও পর্যাপ্ত পরনের কাপড় ছিলো।
পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিক সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) নিয়ে আসে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে মোংলা থানা এস, আই, গৌতম জানান যে, মেয়েটির মা নেই, আসলে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে এসেছে মোংলায়। আমরা একাধিক বার জিজ্ঞাস করেছি সে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগ করে আত্মহত্যা করতেই এসেছে বলে আমাদের জানায়। মেয়েটি আরো বলেছে সুন্দরবনে অবাসস্থল গড়ে জীবন যাপন করার মুল লক্ষ ছিল তার, নয়তোবা আত্মহত্য করার সিদ্ধান্ত।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল ১১ টার দিকে মেয়েটির খালা এসে থানা থেকে নিয়ে যায়। মেয়েটি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর একটি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী বলে যানা গেছে। সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কামারডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন :মোংলায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ২ জনের জেল, উৎকোচের বিনিময়ে মুক্তি পেলেন অভিযোগকারীনী