ডেস্ক রিপোর্ট:
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে গ্যাস লাইন বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ এগ্রিকালচার ও প্রাণ ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন অগ্নিদগ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঘোড়াশালের ঘাগরা এলাকায় অবস্থিত প্রাণ এগ্রিকালচার ও প্রাণ ফুড কারখানায় গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নিরাপত্তা প্রহরী হাসান (৪০), প্রাণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ বিল্লাল হোসেন (৩৫), কেন্টিন কর্মচারি আল-আমিন (২৩) ও ড্রাইভার আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত আরও একজন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রাণের এমসিএলের প্রশাসনিক ভবনের পাশে গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে ও ভবনটির নিচতলার নিরাপত্তা কর্মীদের অফিস ও প্রাণের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম ভূইয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু দাউদ মিয়া (পার্শবর্তী দোকানদার) বলেন, দোকানে বসেই গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে পুরো ভবনটি কেঁপে উঠে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আমি দোকান থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাই।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আগুন লাগার পর পলাশ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও প্রাণ কোম্পাণির একটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস পাইপ লাইন লিকেজ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচ জন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
ঘোড়াশাল প্রাণ ফুডের জিএম (এ্যাডমিন) শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্ধের দিন থাকায় কারখানায় শ্রমিকরা ছিল না। যার কারণে নিহতের ঘটনা ঘটেনি। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রধান কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। সূত্র: সমকাল
আরও পড়ুন: বিশ্বের পাঁচ উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে স্থান পেল বাংলাদেশ