চলমান বার্তা ডেস্ক
বরিশাল বিভাগের পাঁচ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন নদীগুলোর আশপাশের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। দুর্ভোগে রয়েছেন তাঁরা। এদিকে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেলে এলাকায় নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সংস্থাটি বলছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি চলে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবও রয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার আহসান আলম জানান, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি সাত সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী
নদীর পানি ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এসব এলাকায় নদী ভাঙনের দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে, নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় অনেক নিম্নঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : করোনায় নতুন শনাক্ত ৩৭