ছবি: প্রতিবেদক
মজিবর রহমান, পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিমি (১৫) কে ক্লাসে ডাষ্টার দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শ্রেণী শিক্ষিকা ঊষা রানীর বিরুদ্ধে।
গতকাল সকাল ১১টায় ২য় ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিমিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মিমি উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলম শরীফের মেয়ে।
এঘটনায় আহত ছাত্রীর মা মুন্নি আক্তার শনিবার রাতে থানায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ২য় প্রিয়র্ডে ক্যারিয়ার ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষিকা ঊষা রানী বাংলা বিষয়ে পাঠদান শুরু করেন। এ সময় শিমু নামের এক শিক্ষার্থী বাংলা পাঠদানের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষিকা ঊষা রানী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
মিমি এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষিকা ঊষা রানী মিমিকেও মাথা নিচু করে ডাষ্টার দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় শিক্ষিকা ঊষা রানী মিমিকে পিটিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি উপরন্তু কালো কুৎসিত বলে গালমন্দ করেন।
ওই শিক্ষার্থীর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল অভিযোগ করেন, আমার ভাগ্নিকে অশ্লীল কথা বলে ছাত্রীদের উপস্থিতিতে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক উষা রানী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময় ওই ছাত্রী তাকে না বলে বাহিরে যায় এবং তাই পড়াশুনা করে তাকে ভালো মানুষ হওয়ার উপদেশ দেই। তিনি আরও বলেন, আমি ক্লাসে ডাষ্টারই নেইনি, কিভাবে আমি ডাষ্টার দিয়ে পিটাব?
কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল সাহেব উল্টো মোবাইলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহজাহান আলী জানান, ক্লাসে এভাবে স্কুল ছাএী মিমকে মেরে আহত করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেঁচো সারে সফল মমিনপুরের দিজেন্দ্র নাথ