মালির প্রধানমন্ত্রী সুমেলু বুবে মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
জনগণের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন মালির সরকার। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির জাতিগত সহিংসতা নিরসনে ব্যর্থতার দায়ে প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো সরকারই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। আজ শুক্রবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে গত বুধবার দেশটির সংসদ সদস্যরা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুমেলু বুবে মিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেতা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খুব শিগগির নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন সরকারও গঠন করা হবে।’
গত মাসে মালির মোপ্তি এলাকায় চরমপন্থী বিদ্রোহীদের হামলায় ফুলানি গোষ্ঠীর ১৬০ পশুপালক নিহত হন। এর পর থেকেই সহিংসতা নিরসনে ব্যর্থতার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
অস্ত্রধারী ওই হামলাকারীরা দোগোন জাতিগোষ্ঠীর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফুলানি গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘকালের দ্বন্দ্ব আছে এ গোষ্ঠীটির। ওই ঘটনার পর সারা দেশের মানুষ ফুঁসে ওঠে। এর প্রতিবাদে চলতি মাসের ৫ তারিখে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী বামাকোর রাস্তায় নেমে আসে।
গত মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দেশের মানুষের ক্ষোভের কথা শুনেছেন। ২০১২ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ইসলামী চরমপন্থী গ্রুপগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের মরুভূমির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।সেনা অভিযান পরিচালনা ও ২০১৫ সালে করা এক শান্তিচুক্তি সত্ত্বেও চরমপন্থীরা এখন পর্যন্ত দেশটির বিশাল অংশে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া