ছবি: প্রতিবেদক
মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
মোংলার বৌদ্যমারী বাজারের ইজারাদারকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে। ইজারাদার মোঃ দুলাল হাওলাদারের অভিযোগ, সরকারী সকল নিয়ম মেনে ইজারা গ্রহনের একমাস পরও বাজারের ইজারা উঠাতে পারছেন না তিনি। প্রভাবশালী গ্রুফটি তাকে হুমকি দামকি প্রদান করছে আর বাধা গ্রস্ত করছে টোল আদায়ে। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, পহেলা বৈশাখ মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা রাজস্ব প্রদান করেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বৌদ্যমারী বাজারের ইজারা গ্রহন করেন মোঃ দুলাল হাওলাদার। দীর্ঘ ১মাস অতিবাহীত হলেও চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর কারণে টোল আদায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্রমুলকভাবে তাকে বাজারে ইজারা থেকে সরানোর জন্য ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বাজার কমিটির নামে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে।
তবে বৈদ্যমারী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন মুঠো ফোনে জানান, তিনি ইজারাদার দুলাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে সরকারের কোন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেননি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন বাজারের বিভিন্ন দোকানের দরপত্র মুল্য নির্ধারণ করার কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন তার কাছ থেকে। পরে তিনি জানতে পারেন তার ওই স্বাক্ষরিত কাগজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন জানান, বৈদ্যমারী বাজার ইজারা গ্রহনকারী দুলাল হাওলাদার সরকারের নিয়ম নিতি না মেনে টোল আদায় করার কারনে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ করেছেন।
কিন্ত বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন দুলাল হাওলাদার। তার দাবি বাজারে ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তবে সদ্য যোগদান করা মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি। অভিযোগটি তার নজরে আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন :চোখের জলে কী নিভবে ধান ক্ষেতের আগুন?