ছবি: সংগৃহীত
কোনো কেউ
চোখের সকল নদী
হৃদয়ের সব অনুভূতি
চরাচরে চাঁদ জাগে বুঝি
নোনাজলে স্রোত বয় যদি !
যদিও গোধূলী আসে
রাত যেয়ে হয় ভোর ।
ক্যানোযে আড়াল হলে
সময়ের ভাঁজে ভাঁজে
দূরে থেকেও কাছে এসে
না পায় যদি সে অবেলায় খবর !
দৃষ্টির সকল সীমানা ছু্ঁয়ে
আষাঢ়ের অঝোর ধারায় য্যানো
নীলাকাশের নীল রঙ তবে
কীভাবে দেখবো বলো ?
যমুনার চর মেঘনার স্রোত
পদ্মার পাড় মোহনার ঢেউ
স্বপ্নিল সাম্পানে বুঝি
ভেসে আছে য্যানো
অচেনা পথের পথিক
পাল তোলা কেউ !!
যদি কাঁদো
আমার গল্প শুনেই যদি কাঁদো ?
তাহলে কষ্ট বইবে হৃদয়ে
সময় হলেও অসময় তবে
মুর্ছনার সুরে অমলিন রবে !!
বুঝলেনা যেনো ক্যানো কাঁদালাম ?
না কি কাঁদলে আত্নজ অবৈভবে
যথাযথ অনুর্বর চৈতি অভিমানে
অনির্মল ধোঁয়াটে ধূসর অভিসারে !
সময়ের শুকনো নদী বেয়ে
অসময়ের নোনাজল ঝরে
উপচে ওঠে বা দু ‘পাড় বেয়ে
ঘন বরষায় চোখের প্লাবনে ?
কালের সীমানা ছেড়ে
আসো যদি… হয়ে মনের জমিনে
নিশুতি রাতে নয়নের জলে
প্লাবনের মাঠে পলি হয়ে জমে
সবুজ হবে তো হৃদয়ের পাথারে
ফলবে ফসল প্রেমানলের বাগানে!!
অছোঁয়া স্বপ্ন
পুরোনো সময় যখন নতুন ছিলো
মমতামাখা টোলপড়া হাঁসির আভা
অন্ধকার ঠেলে শিহরিত আলো
ঘনকেশ হাওয়ায় দুলানো
মাধবীলতায় অনল ঝুলানো
বুকচাপা রোদনের জ্বালা
কেনো যে হাহাকার হলো ;
চৈত্রের হুতাসনে এই ক্ষণে এসে
এই জনপদে !
জোছনার রুপালী রঙে
বহমান নদীর স্রোতে
ভেসে চলি কতজন কতজনা ;
বিরহী বাতাসে নদীর ঢেউয়ে
গন্তব্যের পিঠে ছেঁড়া ছেঁড়া পালে
নাও বেয়ে চলি রহস্যাভিসারে !
অতীত সময়ের স্মৃতিভেজা পথে
কেনো যে ভিজলো বুকের মাঠ !
অদেখা বৃষ্টিতে না বলা ভাষায়
তবে কি থাকবে কোন ভরসায়
শেফালীর ঘ্রাণে বকুলের প্রাণে
সুবাস ছড়ানো হৃদয় ফসলে
থাকে তো শুধু মায়াময় জলে
অছোঁয়া স্বপ্নের ছুয়ে দেখা ভূবনে ।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদী শব্দমালা