সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে :
সোমবার, জুন ৩, ২০১৯ ৯:৫৪:৩৭ অপরাহ্ণ
আগের এক সফরের সময় রানি এলিজাবেথের সাথে মি. ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে আজ যুক্তরাজ্য এসে পৌঁছেছেন – যে সফরকে কেন্দ্র করে এমন সব বিতর্ক ও ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে যা অনেক দিক থেকেই নজিরবিহীন।
গতবার ব্রিটেন সফরের সময় দেখা গিয়েছিল, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে সাক্ষাতের রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রেও ট্রাম্প গোলমাল বাধিয়ে বসেছেন। কিন্তু এবারের রানীর সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জন্য পাঁচটি নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। নিয়ম পাঁচটি হলো:
১. রানিকে চুমু খাবেন না।
কিন্তু ১৯৭৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই ভুলটি করেছিলেন। অবশ্য তিনি রানিকে চুমু খাননি, খেয়েছিলেন রানির মা-কে। তিনি ব্যাপারটা একেবারেই পছন্দ করেন নি।
বিদেশী অতিথিদের রানির সামনে বাউ বা মাথা ঝোঁকাতে হয় না, তবে মাথা সামান্য নামানোকে শিষ্টাচার সম্মত বলে মানা হয়। রানি যদি অতিথির দিকে হাত বাড়িয়ে দেন – তাহলে তার সাথে আপনি করমর্দন করতে পারেন।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্রিটেনে
২. রানির আগে হাঁটবেন না
রাজকীয় গার্ড অব অনারের সময় অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে রানির পাশাপাশি বা একটু পেছনে পেছনে থেকে হাঁটতে হয়। কিন্তু এর আগে দেখা গিয়েছিল রানি এলিজাবেথের আগে আগে হাঁটছেন মি. ট্রাম্প – যা শিষ্টাচার সম্মত নয়, এবং রানির দিকে পেছন ফিরে থাকার সামিল।
৩. রানির আগে খাওয়া শুরু করবেন না
রাজকীয় ভোজের সময় রানি খাওয়া শুরু করার আগেই অতিথি খেতে শুরু করা শিষ্টাচারসম্মত নয়। তা ছাড়া রানি যখন খাওয়া শেষ করবেন তখন আপনাকেও খাওয়া শেষ করতে হবে। তা না হলে আপনার খাওয়া শেষ হয়েছে কিনা তার অপেক্ষা না করেই আপনার প্লেট সরিয়ে নেয়া হবে।
৪. জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় কথা বলবেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একবার এ নিয়ম ভঙ্গ করে জাতীয় সঙ্গীত বাজছে এমন সময় কথা বলেছিলেন।
৫. যৌনতা, ধর্ম ও রাজনীতির কথা বলবেন না।
রাজকীয় ভোজের সময় যৌনতা, ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলা নিষেধ। যৌনতার জায়গা শোবার ঘরে, তার বাইরে নয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প
উল্লেখ্য, এবারের সফরের শুরুতেই রাজপরিবারের সদস্য মেগান মার্কেলকে নিয়ে ট্রাম্পের করা একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেলকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাকে ”ন্যাস্টি” অর্থাৎ ”খারাপ” বলার একটি টেপ প্রকাশ করেছে এক ব্রিটিশ পত্রিকা। তবে এরকম কথা অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলও ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি মিস্টার ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মেগান মার্কেল মে মাসে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখনো তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন এবং ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের সময় তিনি তার সাথে সাক্ষাত করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।